রবিবার, ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১২:৪৫

শিরোনাম :
কথা দিচ্ছি আপনাদের সেবায় আমি সর্বদা পাশে থাকবো : চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন উপজেলার উন্নয়নে আপনাদের পাশে আমি সর্বদা রয়েছি -ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ

বরগুনায় সন্ত্রাসী হামলায় আহত ১০

dynamic-sidebar

বরগুনার আমতলী উপজেলার আমড়াগাছিয়া বাজারে প্রতিবন্ধি শফিকুল ইসলাম রানার দোকানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করেছে ভূমিদস্যু সন্ত্রাসী খালেক সরদার ও তার সহযোগীরা। সন্ত্রাসীদের হামলায় ১০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ছত্তার প্যাদা ও তার স্ত্রী রুব্বানকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনা ঘটেছে সোমবার রাতে। পুলিশ সন্ত্রাসী সোনামিয়া সরদারকে গ্রেফতার করেছে।’

খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে- উপজেলার আমড়াগাছিয়া বাজারের প্রতিবন্ধি শফিকুল ইসলাম রানার স্ত্রী সুমা বেগম বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে ১০ শতাংশ জমি তিন বছরের জন্য বন্দোবস্ত নেয়। ওই জমিতে ঘর তুলে ব্যবসা করছে সুমা ও তার প্রতিবন্ধি স্বামী শফিকুল ইসলাম রানা। এ জমি ভুমি দস্যু খালেক সরদার তার নিজের জমি দাবী করে আসছে।

সোমবার রাত ৮ টার দিকে খালেক সরকার, তার ছেলে আনোয়ার সরদার ও সোনামিয়া সরদারসহ ১০/১৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল শফিকুল ইসলাম রানার দোকান ঘর দখলের জন্য হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এ সময় তাদের বাঁধা দিলে সন্ত্রাসী খালের সরদার ও তার সহযোগীরা শফিকুল ইসলাম রানা, তার বাবা ছত্তার প্যাদা, মা রুব্বান বেগম ও স্ত্রী সুমাকে বেধরক মারধর করে। তাদের রক্ষায় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে তাদেরকেও মারধর করেছে। পরে সন্ত্রাসীরা দোকানঘর ভাংচুর করে দোকানে থাকা নগদ এক লক্ষ ৭০ হাজার টাকা, বিকাশের দুটি মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে যায়।

খবর পেয়ে আমতলী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে সন্ত্রাসী সোনামিয়া সরদারকে গ্রেফতার করেছে এবং খালেক সরদারের স্ব-মিল ও একটি দখলীয় ঘর পুলিশ অবরুদ্ধ করে রাখে। সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত ছত্তার প্যাদা ও তার স্ত্রী রুব্বানকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহত রিজিয়া বেগম, সালেহা বেগম, রিপন হাওলাদার, আলমগীর হোসাইন, ওহার মেম্বরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। এ ঘটনায় সোমবার রাতে শফিকুল ইসলাম রানা বাদী হয়ে সোনামিয়া সরদারকে প্রধান আসামী করে ১৫ জনের নামে আমতলী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী আহত সালেহা বেগম, রিজিয়া বেগম ও আলমগীর হোসাইন ৭/৮ জন জানান, খালেক সরদার ও তার ১০/১৫ জন সহযোগী এসে রানার দোকানে হামলা চালায়। পরে মারধর করে দোকানে থাকা মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়।

শফিকুল ইসলাম রানা জানান- খালেক সরদার তার ছেলে আনোয়ার সরদার ও সোনামিয়া সরদারসহ ১০/১৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল আমার দোকান দখলের জন্য হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে নগদ এক লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ও বিকাশের ব্যবসার টাকাসহ দুটি মোবাইল সেট নিয়ে গেছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাদকচন্দ্র দে জানান- খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সোনামিয়া সরদারকে গ্রেফতার করেছি এবং খালেক সরদারের স্ব-মিল ও একটি দোকানঘর আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) নুরুল ইসলাম বাদল বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net